সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল ধরনের গণজমায়তে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপক্ষো করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে পুণ্যস্নানে লোকে লোকরন্য।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জাদুকাটা নদীতে শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হিন্দু (সনাতন) সম্প্রদায়ের লোকজনের ঢল নেমেছে। তবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলবে এই গঙ্গাস্নান।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানান, চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে জাদুকাটা নদীতে স্নান করলে সব পাপ মোচন হয়ে যায় বলে প্রচলিত রয়েছে। পুণ্য লাভের আশায় প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসময়ে লাখো মানুষ আসেন জাদুকাটা বা পুণ্যতীর্থে স্নান করতে। কিন্তু করোনার কারণে গত বছরও স্নানের অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই এবছর লকডাউনের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই তারা গঙ্গা স্নানের জন্য একত্রিত হয়েছেন।
এদিকে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা বিধানে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় গাড়ি আটকালেও দূর দূরান্তের ভক্তরা সকল নিষেধ উপেক্ষা করেই যাদুকাটা নদীতে গঙ্গাস্নান করতে যান। তবে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা সেখানে আগত পূণার্থীদের সামাজিক দূরত্ব পালনে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, এই মহামারী করোন ভাইরাসের প্রকৌপ বেশী হওয়ার কারণে এই যাদুকাটার পাড়ে দুইজন আধ্যাতিক সাধক শ্রী অদ্বৈত্য মহাপ্রভু ও শাহ আরফিন শাহ এর মাজারের দুইতিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বৈঠকে স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাঞ্জা অমান্য করে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারন মানুষজনের আগমন ঠিক হয়নি। তারপরেও যদি পূণার্থীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করে যে যার গন্থব্যে চলে যান তাহলেই কেবল মঙ্গল হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সব রকমের চেষ্টা করছি জাদুকাটায় (পুণ্যতীর্থে) যাতে কেউ গণজমায়েত না করে। কিন্তু সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেও অনেকই সেখানে গঙ্গাস্নান করতে এসেছেন।